শিবগঞ্জের বাগবাড়ি মিয়াপুর দাখিল মাদ্রাসায় গোপনে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তবে কতৃপক্ষ অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে গেলে অত্র মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও শ্রেষ্ঠ মৎসচাষী হিসাবে পুরস্কার প্রাপ্ত মাইনুল ইসলাম জানান,মাদ্রাসার সুপার আতাউর রহমান ও সভাপতি সাহাবুদ্দিনের যোগ সাজজে গোপন একটি অপ্রচলিত পত্রিকায় অফিস সহকারী(কেরানী)ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুধু মাত্র তাদের মনোনীত কয়েকজন প্রার্থীকে আবেদন করান ।
তাদের মধ্যে বাগবাড়ি মিয়াপুর এলাকার রশিদ মহরালের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের নিকট হতে অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ দানের ১৬ লাখ ও নামো চাক পাড়ার জনৈক ব্যক্তির নিকট হতে নৈশ প্রহরী পদের জন ১১ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জেনেছি।তিনি আরো বলেন এব্যাপারে সোনালী ব্যাংক সোনামসজিদ শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছে আমরা জানতে পেরেছি। শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও দানিয়ার গাছী গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ উদ্দিন জানান. মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি যোগ সাজস করে মোটা অংকের বিনিময়ে জামাতের ক্যাডার দুইজনকে নিয়োগ দানের পায়তারা করছেন।
তিনি আরো জানান, আমরা যে কোন মূল্যেই হোক অবৈধভাবে নিয়োগ বন্ধ করবোই। তিনি আরো বলেন এর আগেও সুপারের যোগ সাজসে সাম্প্রতিক কালে বিদ্যুৎসাহী সদস্য মাহিদুর রহমানের মাধ্যমে আজিজের ছেলে গাফফারের নিকট হতে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে নিয়োগ দিতে না পারায় কিছুদনি পর ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে এখনো ৩০ হাজার টাকা পাবে। শুধু এ দু‘জনই নয় এলাকার রুহুল, রব্বুল,ইসমাইল সাব্বুল সহ প্রায় ২৫/৩০জন একই ধরনের অভিযোগ করেন।তারা আরো বলেন প্রয়োজন হলে আন্দোলন করবো।এব্যাপারে ভুক্তভোগীর পিতা আজিজ স্বীকার করে বলেন টাকা দিয়েছিলাম সত্যি।
কিন্তু অনেকদিন পর্যন্ত নিয়োগের কিছু বুঝতে না পেরে টাকা ফেরত চাইলে কয়েক দফায় ৬০হাজার টাকা দিয়েছে এবং আরো প্রায় ২৮/৩০ হাজার টাকা পাবো। তবে বিদ্যুৎসাহী সদস্য মাহিদুর রহমান টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এব্যাপারে কোন নিউজ হলে আজিজ ও আজিজের ছেলে গাফফারের ছেলের খবর আছে বলে হুমকি প্রদান করেন সাংবাদিকদের সামনে। অন্যদিকে রশিদ মহারালের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক অত্র মাদ্রাসায় আবেদন ও টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে এ সময় তার মা বিষয়টি সত্যি বলে আরো কিছু বলতে গেলে তার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন।
এব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার আতাউর রহমান টাকা লেনদেন সহ সম্পূর্ন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন পদ দুটি শূন্যের ব্যাপারে সভাপতি সহ কমিটিকে জানানো হয়েছে, তারা কোন নির্দেশনা না দেয়ায় নিয়োগের কোন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি। অন্যদিকে সভাপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, নিয়োগের ব্যাপারে কোন বিজ্ঞপ্তি হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই বলে মিটিং এ আছি বলে ফোন বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এব্যাপারে দাইপুখুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এলাকা বাসী জানালে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো এবং অবৈধভাবে নিয়োগ দানের প্রক্রিয়া বন্ধ করা চেষ্টা করবো।এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সুপাইভাইজার মুরশেদ আলি জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করলে যৌথভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত বলেন বিষয়টি জেনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলেই অবৈধ নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করা হবে।